পেট কামড়ানো কমানোর দোয়া।Dua to reduce stomach-biting
পেট কামড়ানো কমানোর দোয়া।Dua to reduce stomach-biting
পেট কামড়ানো কমানোর দোয়া। পেট কামড়ানো কমানোর দোয়া।Dua to reduce stomach-biting। বিস্তারিত পোস্টটি পড়ুন
পেটের ব্যাথা হলে এবং পেট কামড়ালে আপনি কোন দোয়া পড়লে এবং কোন দোয়া পড়ে পানিতে ফু দিলে আপনার পেটের ব্যাথা বা পেট কামড়ানো দূর হয়ে যাবে। তার জন্য ইসলামিক পদ্ধতিতে একটি দোয়া আছে। এই দোয়া পড়ে আপনি পানিতে ফু দিয়ে সে পানি আপনি খেলে আপনার পেট কামড়ানো পেটের ব্যাথা সাথে সাথেই দূর হয়ে যাবে। কিন্তু অনেকেই জানে না যে এই সূরা পাঠ করে পেটের ব্যাথা বা পেট কামড়ানো দূর করা যায়। ইসলাম একটা শান্তিপূর্ণ আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন আমাদেরকে শেফা হিসেবে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ পাক বলেন আমি এই কুরআন টাকে পাঠিয়েছি তোমাদের সমস্ত রোগের সেফা হিসেবে। আপনার যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কোরআনে সবকিছু আল্লাহ পাক দিয়ে দিয়েছেন।
আল্লাহ পাক মানুষের অসুখ সম্পর্কে অনেক অনেক আয়াত নাযিল করেছেন । আমরা অনেকেই জানি না অনেকেই কুরআন শুনি না তাই আমাদের অনেক ধরনের সমস্যা। আপনার যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য কুরআন যথেষ্ট। পেটের ব্যাথা হলে আপনি নিজেই সুরা পাঠ করে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি খেলে আপনার পেটের ব্যাথা সাথে সাথে দূর হয়ে যাবে। আপনার অন্য কারো কাছে যেতেও হবে না কোন ডাক্তারের কাছেও যেতে হবে না। আমরা অনেকেই পেট ব্যাথা ও পেট কামড়ানোর জন্য হুজুরের কাছে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকি। হুজুরের যখন সময় হয় তখন তিনি পানি পড়া দেন আমরা নিয়ে আসি। কিন্তু এ সূরাগুলো আপনার জানা থাকলে আপনার কোন হুজুরের কাছে যেতে হবে না আপনি নিজেই পাঠ করে পানিতে ফু দিয়ে আপনার পেট ব্যাথা পেট কামড়ানো দূর করতে পারেন।
পেট কামড়ানো কমানোর দোয়া।
প্রথম নাম্বার সূরা হলো সূরা ফাতিহা। সূরা ফাতিহা আমাদের সবারই জানা। আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে গেলে সূরা ফাতিহা প্রতি রাকাতেই পড়তে হয়। তাই সূরা ফাতিহা আমাদের সবারই জানা থাকার কথা। কিন্তু নিয়ম মেনে পাঠ করতে হবে। প্রথমে আপনার শরীর কাপড় পাক রাখতে হবে। নাপাক শরীরে নাপাক কাপড়ে আপনি পাঠ করে যদি আপনি পানিতে ফু দেন ওই পানি আপনার কোন কাজে আসবে না। সেই পানি পড়া আপনি খেলে কখনোই আপনার পেট কামড়ানো ভালো হবে না। তাই আপনি শরীর পাক রেখে এই সূরা পাঠ করবেন আর পানিতে ফু দিবেন। অবশ্যই আপনি সূরা ফাতিহা পড়ার আগে বিসমিল্লাহহির রহমানির রাহিম বলে। নিঃশ্বাস না পেলে দম না পেলে এক নিঃশ্বাসে আপনি সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত পাঠ করবেন।
যেমন। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। তারপরে আর রহমানির রহিম। এরপরে এক এক করে সবগুলো আয়াত আপনি পড়বেন। কোন সমস্যা নেই। কিন্তু প্রথম আয়াতটি বিসমিল্লাহ পড়ার পরে নিশ্বাস না পেলে পড়তে হবে। পরের আয়াতগুলো আপনি নিশ্বাস ফেলে পেলেও পড়তে পারেন। এরপরের শর্ত হলো । আপনার জবান পাক রাখতে হবে। আপনি যদি আপনার মুখে মিথ্যা কথা বলেন। তাহলে এই সূরা পাঠ করলেও হবে না।
প্রথমত আপনাকে তওবা করতে হবে। তারপর বিসমিল্লাহ বলে ছোড়া পাঠ করবেন অবশ্যই আপনার দোয়া আল্লাহর কাছে কবুল হবে। আমরা যারা মুসলমান তারা সবাই জানে জবান কিভাবে পাক রাখতে হয় । তাই সবসময় শরীর জোভান পাক রেখে আপনি এই সূরা পাঠ করলে। আপনার পেট কামড়ানো পেট ব্যাথা সব সেরে যাবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুন - Symphony বাটন ফোন ২০২৩
পেট কামড়ানো কমানোর ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি।
পেট কামড়ানো । আসলে পেট কামড়ানো একটি মারাত্মক সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায় পেটের তলপেটে একটু মোচড় দিয়ে ওঠে। এবং দ্রুত আমাদেরকে টয়লেটে যেতে হয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা টয়লেটে যাই। মলত্যাগ না করি। ততক্ষণ পর্যন্ত তই আমাদের পেট কামড়ানো চলতে থাকে। এ সমস্যাটা আমাদের বাড়ির ভিতরে হলে কোন প্রবলেম হয় না। কিন্তু যখন আমরা কোন কাজের জন্য বাহিরে বের হয় তখন যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে খুবই প্রবলেম। আবার এই সমস্যাটা আরো মারাত্মক হয় যখন আপনার শরীর শুকিয়ে যায় অথবা দুর্বল হয়ে যায়। প্রেসার কমে যায়। তখন কিন্তু এই পেট কামড়ানো রোগ কুবি মারাত্মক হয়ে ওঠে।
আবার যারা অনেকদিন ধরে টয়লেটে যায় না। যেমন ৩-৪ দিন পর পর টয়লেটে গেলেই চলে। তাদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যাটা একটু বেশি হয়। এই কারণেই পেট কামড়ানোর উৎপত্তি হয়। এই রোগ টাকেই ডাক্তারি ভাষায় গ্যাস্ট্রোকলিক রিপ্লেক্স বলা হয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে, আমাদের ঘরোয়া কিছু খাবার, খেলেই আমরা মুক্তি পেতে পারি। যদি আমাদের বড় কোন প্রবলেম না হয় তবে। যদি কোন বড় ধরনের প্রবলেম না হয় তবে কিছু খাবার আপনার চেঞ্জ করলেই, এই পেট কামড়ানো রোগ থেকে বাঁচতে পারেন। সর্ব প্রথমেই আপনাকে আপনার খাবার চেঞ্জ করতে হবে।
মসলা জাতীয় খাবার।
বাজাপোড়া, বাহিরের খাবার, এসব অভ্যেস থাকলে অবশ্যই আপনাকে বাতিল করতে হবে। বাড়িতে যদি আপনি মসলা জাতীয় খাবার বেশি খান। তেল চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খান, সেই খাবারও আপনাকে অফ করতে হবে। মূল কোথায় আপনাকে গুড ডায়টে আসতে হবে। এটা যে একটা প্রবলেম এটা থেকে মুক্তি পেতে , এই অভ্যাসগুলো আপনাকে চেঞ্জ করতেই হবে। তা না হলে আপনার এই পেট কামড়ানো রোগ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন না। শুধুমাত্র ওষুধের ওপর যদি আপনি নির্ভর করে, এই সমস্যাগুলো দূর করতে চান, তাহলে আপনি একদমই ভুল এটা কখনোই সম্ভব না।
আপনি শুধু শুধু ওষুধকে টাকা নষ্ট করবেন না। এই সমস্যা দূর করতে হলে আপনি নিয়মিত আপেল কমলা বিভিন্ন ফল খেতে পারেন । সবজির মধ্যে সবগুলো সবজি আপনি খেতে পারেন। কড়াইশুঁটি পেতে পারেন। নিয়মিত পেয়ারাও খেতে পারেন। কলা খেতে পারেন। আনারস খেতে পারেন। আনারস এতটা হেলপুল না তারপরেও খেতে পারেন। টক দই খেতে পারেন। শসা খেতে পারেন। টমেটো খেতে পারেন। এই খাবারগুলো আপনি নিয়মিত খেতে পারেন। আসলে এই খাবারগুলো আমরা অনেকেই খেতে চায় না। অনেকে পছন্দ ও করেন না। আসলে আপনি যদি এই নিয়মিত এই খাবারগুলো খান, তাহলে আপনার এই রূপ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন।
হঠাৎ করেই পেটে মোচড় দিয়ে যে ব্যথার বাভ।
হঠাৎ করেই পেটে মোচড় দিয়ে যে ব্যথার বাভ, এ সমস্যাটা একদমই থাকবে না। আরও একটি জরুরী জিনিস সেটা আপনাদেরকে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ খুব পছন্দ করি। সেটা হচ্ছে পেট না ভরা পর্যন্ত খেতেই থাকি, মাছ মাংস ডিম আলু যা আছে সব আমরা পেট না ভরা পর্যন্ত খেতেই থাকি। এই অভ্যাসটাও আপনাকে ত্যাগ করতে হবে। আপনারা আরেগুলার একটা সিস্টেমের মধ্যে খাদ্য খাওয়া করবেন। একেবারে বেশি না খেয়ে ধীরে ধীরে খাবেন, একটু পরে পরে খাবেন।
এতে দেখা যাবে যে আপনার হজমের যে প্রক্রিয়াটা সুন্দরভাবে হচ্ছে। যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে যদি আপনি কিছুদিন চলেন তাহলে আপনার এই গ্যাস পেট কামড়ানো পেট ব্যাথা এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেয়ে যাবেন। তাই পেট সবসময় একটু খালি রেখে খাদ্য খাওয়া করবেন। তো আজকের পোস্টটি এই পর্যন্তই। যদি আপনার ভালো মনে হয় তাহলে আপনি করতে পারেন। যদি ভালো না মনে হয় আপনি নাও করতে পারেন।
সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাছাড়া আপনি হেলথ এবং ভালো ডাক্তারদের সাথে কথা বলেও দেখতে পারেন। সম্মানিত ভিউয়ার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের এই ওয়েবসাইটে আরো ভালো ভালো পোস্ট আছে। আপনি চাইলে সেগুলো দেখতে পারেন।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url