ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যথা।

ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যথা।

ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যথা।

ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যথা। ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা কিসের জন্য হয় তা জানতে আমাদের আজকের পোস্ট। বিস্তারিত পোস্টটি পড়ুন

ঠান্ডা জ্বর সর্দি-কাশি গলা ব্যথা থেকে একদিনেই মুক্তি পাওয়ার উপায় জানাবো আজ। বিশেষ কিছু নয় বরং রান্নাঘরের যে মসলা বা খাবার রয়েছে তারই সঠিক ব্যবহার করে আপনারা একদম সুস্থ হয়ে যাবেন। পাঁচটি উপাদান এবং তার আলাদা আলাদা ব্যবহার জানাবো। পাঁচটির মধ্যে আপনার কাছে যেটা সহজ আপনি সেটাই গ্রহণ করুন। ওয়েলকাম টু মাই মাই ওয়েবসাইট দে ডিরেক্টর।

লবঙ্গ খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে

লবঙ্গ খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।

প্রথমে বলছি লবঙ্গ আপনি কিভাবে সেবন করবেন ।এইসব রোগগুলো সারাতে ।প্রথমে দুই কাপ পানি নিন ।দুই কাপ পানিতে ৭-৮ টি লবঙ্গ একটু থেঁতো করে দিয়ে দিন। তারপর হালকা তাপে ফুটিয়ে এক কাপ করে নিন। পানি এক কাপ হয়ে এলে সেটা কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় পান করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার আধা ঘন্টা পরে দুপুরে খাবারের আধা ঘন্টা পরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে এইভাবে একদিন আপনি লবঙ্গ সেবন করবেন। তাহলে যে যে রোগের কথা বলেছি সেই সমস্ত রোগ একদিনেই ভালো হয়ে যাবে। 

এবার বলছি, এইসব রোগ ছাড়াও লবঙ্গ আপনার শরীর থেকে আর কি কি রোগ দূর করবে এবং লবঙ্গ আপনি কেন সেবন করবেন। লবঙ্গে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ,ক্যালসিয়াম ,আয়রন ,ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস ,পটাশিয়াম ,সোডিয়াম ড্রিঙ্ক, ভিটামিন ,ভিটামিন বি সিক্স, এবং এই সব রোগ কে বিদায় করে। সেই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। এইসব উপাদান গুলোর কারণেই মাত্র একদিনের মধ্যেই আপনার ঠান্ডা জনি তো সব রোগ শরীর থেকে বিদায় নেবে। সেই সাথে যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারাও এই রোগ থেকে উপশম পাবেন। 

এছাড়া যারা ডায়াবেটিস ভুকছেন তাদের ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে লবঙ্গ সেবনে। তার শরীরের ব্যথা একদম দূর হয়ে যাবে। দাঁতের ব্যথা থাকলে তাও ভালো হবে। যাদের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তারা যদি এইভাবে লবঙ্গ সেবন করেন, তাহলে সাইনাসের সমস্যা একদম ভালো হবে। আবার যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে পেটে গ্যাস এসিডিটি বা টক ঢেকর হয় কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তারা উপকার পাবেন লবঙ্গ সেবনে।


পেঁয়াজ খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে

পেঁয়াজ খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।

পেঁয়াজ, পেঁয়াজ দিয়ে ঠান্ডা সর্দি-কাশি জ্বর গলা ব্যথা ভালো করার একটি নিয়ম আছে। নিয়মটি হল। প্রথমে পেঁয়াজ ভালো করে ধুয়ে নিন তারপরে খোসা ছাড়িয়ে কেটে এবার পেয়াজের রস বের করে নিন। ডেন্ট করে নিতে পারেন অথবা পাটায় বেটে রস বের করতে পারেন। এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে সেবন করতে হবে। এইভাবে আপনি দিনে দুইবার সেবন করবেন। প্রথমে সকালবেলায় নাস্তা করার আধাঘন্টা পরে এবং দুই রাতে ঘুমানোর আগে। 

যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা মধু ছাড়াই সেবন করুন। যদি এভাবে পেঁয়াজের রস সেবন করতে পারেন। তাহলে একদিনেই আপনার এই সব রোগ ভালো হবে। কারণ পেঁয়াজের মধ্যে একই সাথে রয়েছে, এন্টি মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিসেপটি, এবং এন্টিবায়োটিক গুণ। এছাড়াও পেঁয়াজে রয়েছে, প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। পটাশিয়াম, সালফার, মিনারেলস, ভিটামিন বি, এবং ভিটামিন সি। এছাড়াও আরো আছে, ফাইবার, তাই পেঁয়াজ খেলে আপনার আপনার ঠান্ডা জনিত ব্যাথা জ্বর সর্দি কাশি গলা ব্যাথা এলার্জি সেই সাথে পেঁয়াজ খেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া একদম ভালো হয়ে যাবে। হজম শক্তি অনেক গুণ বেড়ে যাবে। ত্বকের সব ধরনের সমস্যা মিটে যাবে। 

এমনকি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে পেঁয়াজ। পেঁয়াজ হৃদরোগ ভালো করে। পেঁয়াজের আরো অনেক গুন। আপনি নিয়মিত পেঁয়াজের রস খেলে আপনার শরীর সব সময় সুস্থ সবল থাকবে।

রসুন খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে

রসুন খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।

রসুন , রসুননে রয়েছে এল ই সিন ও অন্যান্য অর্গানিক সালফার উপাদান। যেটা সংক্রমণ বিরোধী এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে নিমিষেই শেষ করে দেয়। তাই সংক্রমণজনিত জ্বর সর্দি থেকে গলা ব্যাথা ঠান্ডা জনিত ব্যাথা সর্দি কাশি বা যেকোনো ঠান্ডা জনিত গলাবে তাকে দূর করে। এইসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, প্রথমে তিন থেকে চার কোয়া রসুন খুব ভালো করে তেতো করে নিন। 

তারপর একগ্লাস গরম পানিতে, এই তেতো করা রসুন, ভিজিয়ে রাখুন যতক্ষণ না এই পানিটি কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় আসে। কুসুম কুসুম গরমে পানিটি কোন ভালো পরিষ্কার চাকরি দিয়ে ছেকে ধীরে ধীরে পান করুন। অথবা আপনি এই রসুনের তেতো সহ এ পানিটি খাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক লিটার কুসুম গরম পানি আধা ঘন্টা পরে এই পানি আপনি খাবেন। 

এবং রাতে ঘুমানোর আধা ঘন্টা আগে আপনি রসুন দিয়ে এভাবে পানি বানিয়ে সেবন করবেন। তাহলে মাত্র একদিনেই আপনার এই সকল রোগ বিদায় নিতে বাধ্য। আপনার এই ঠান্ডা জনিত ব্যাথা জ্বর সর্দি কাশি সব রোগ বিদায় নিয়ে যাবে একদিনেই।

লেবু 🍋 খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে

লেবু 🍋 খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।

লেবু 🍋 লেবু যে ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশি কে ভালো করতে পারে, এই তথ্য আমরা সবাই মোটামুটি জানি। কিন্তু আপনি কিভাবে লেবু খাবেন, লেবু কি ভাতের সাথে খাবেন, একদমই এটা করা যাবে না। বরং আপনি ভাত খাওয়ার আধাঘন্টা আগে, কতবার সকালে ঘুম থেকে উঠে, পানি খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে, লেবু খাবেন। 

একটি লেবুর রস অথবা দুই টেবিল চামচ রসের সাথে এক কাপ উষ্ণ পানি মিশিয়ে নিবেন। যদি আপনার ডায়াবেটিস না থাকে এবং মধু খেতে কোন সমস্যা না থাকে তাহলে অবশ্যই এক চামচ মধু মিশিয়ে নিবেন। 

কারণ লেবুর সাথে মধু মিশালে, আরো দ্রুত আপনার ঠান্ডা জনিত গলা ব্যাথা সর্দি কাশি ভালো হবে। একদিনের মধ্যেই এইসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, আপনি দিনে সর্বোচ্চ তিনবার লেবু 🍋 মিশানো পানি খেতে পারেন। দুপুরে খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে, এবং রাতে ঘুমানোর আগে এই লেবু পানি সেবন করবেন। তাহলে একদিনে আপনার এ সকল রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আদা খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে

আদা খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।

আধা , ঠান্ডা জনিত সব রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে আদা। এজন্য আদা রস করে খেতে হবে। রান্না করে অথবা চায়ের সাথে আদা ফুটিয়ে খেলে আদার অর্ধেক গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আপনাকে কাঁচা আদা চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে। 

অথবা আদা রস করে খেতে হবে। এক চা চামচ আদার রস অথবা এক ইঞ্চি পরিমাণ আদা সকাল বেলা নাস্তা করার আধাঘন্টা আগে অথবা আধাঘন্টা পরে সেবন করুন। একদিনের মধ্যে উপকার পেতে এই আদা আপনি দিনে দুইবার সেবন করতে পারেন। সকালে এবং রাতে। রাতে ঘুমাতে যাবার আগেও একইভাবে আদা খেতে পারেন। যদি আপনার ডায়াবেটিক্স না থাকে তাহলে এই আদার রসের সাথে আপনি এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। আদার মধ্যে অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জিনজুরুল নামের কমপাউন্ড রয়েছে। 

তাই আদা এতটাই শক্তিশালী। আদা সেবন করলে আপনার শরীরের সব ধরনের ব্যাথা। সাথে সাথেই ভালো হয়ে যাবে। জ্বর হলে ঘা ব্যথা করে। অথবা মাথা ব্যাথা কিংবা হাড় জয়েন্টের যে ব্যাথা এইসব ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে আধা আপনি নিয়মিত সেবন করুন। এছাড়া আরো অনেক ধরনের ব্যাথা এ আদা খেলে দূর হয় তাই আদা আপনি খেতে পারেন।

ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যথা।

আপনি ঠান্ডা জনিত ব্যথার জন্য এই পাঁচটি উপাদান থেকে যেকোনো একটি উপাদান যদি আপনি ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে আপনার ঠান্ডা জনিত ব্যাথা আর থাকবে না। আপনাদের জন্য খুব কষ্ট করে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বিশ্বের ভালো একজন আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের কাছ থেকে। তাই অবশ্যই এই তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত হবে না। আপনি আরো যাচাই-বাছাই করে নিতে পারেন। আমাদের এই পোস্ট যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আমাদের এখানে আরো ভালো ভালো পোস্ট আছে আপনি পড়তে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ সকল ভিউয়ার্সকে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url