নেত্রকোনা জেলার বিখ্যাত স্থান
নেত্রকোনা জেলার বিখ্যাত স্থান
নেত্রকোনা জেলার বিখ্যাত স্থান। নেত্রকোনা জেলার বিখ্যাত স্থানের নাম হচ্ছে। কমলা রানীর দীঘি, টংক শহীদ স্মৃতি শোধ, বিজয়পুর দুর্গাপুর, রাণী কং মিশন,। বিস্তারিত পোস্টটি পড়ুন
গারো পাহাড়ের পাদদেশের নৈসর্গিক এক জনপদের নাম নেত্রকোনা। একে মহুয়া মলুয়ার দেশ ও বলা হয়। হাওর বাওর খাল বিল নদী নালা ঘাস পুল ও উর্বর কৃষি নেত্রকোনা জেলার বৈশিষ্ট্য। ছোট্ট একটি জেলা নেত্রকোনা যার পড়তে পড়তে জড়ানো সৌন্দর্য। এখানে দেখার মত আছে অনেক দর্শনীয় স্থান।
নেত্রকোনা একটি হাওর এলাকা। নেত্রকোনায় অনেক দর্শনীয় স্থান আছে। যা আপনি না দেখে থাকলে একদম মিস করেছেন। আমার জানামতে নেত্রকোনায় ২০ টি দর্শনীয় ভালো জায়গা আছে। তবে সেখানে সব চাইতে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে। দুর্গাপুর পাহাড় অঞ্চল। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে পর্যটকরা বির করেন। দুর্গাপুরের এই পাহাড় অঞ্চল দেখার জন্য। নেত্রকোনায় এমন আরো অনেক দর্শনীয় স্থান আছে যেগুলো দেখলে আপনার মন ভরে যাবে।
আসুন আমরা সবাই জেনে নেই নেত্রকোনা জেলার সবচাইতে বিখ্যাত স্থানগুলির নাম ।
নেত্রকোনা জেলার শীর্ষ ২০টি দর্শনীয় স্থান।
বিরিশিরি, ডিঙ্গাপোতা হাওর, কমলা রানীর দীঘি, সাত শহীদের মাজার, সোমেশ্বরী নদী, উপজাতির কালচারাল একাডেমি, শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি (র) মাজার, রানী মাতা রাসমণি স্মৃতিসৌধ, বোয়াইল বাড়ির নির্দশন, চিনা মাটির পাহাড়, উচিতপুর হাওর, গারো পাহাড়, পাচগাও, বুরুজ ঢিবি, কুমুদিনি স্তম্ভ, চরহাইজদা হাওর, বার দুয়ারি ঢিবি, টংক শহীদ স্মৃতিসৌধ, রানী কং মিশন, নিয়ামত বিবির মাজার,। আসুন এবার আমরা জেনে নেই সেই জায়গাগুলো যেতে কিভাবে কিভাবে যাতায়াত করতে হয়।
নেত্রকোনার দর্শনীয় স্থানসমূহ যাওয়ার পথ ২০২৩।
কমলা রানীর দিঘি।
কমলারানির দিঘি নেত্রকোনার দুরগাপুরে উপস্থিত। ঢাকা থেকে বাসে করে ময়মনসিংহ, তারপর ময়মনসিং থেকে শ্যামগঞ্জ, শ্যামগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর, অথবা ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা, নেত্রকোনা থেকে দুর্গাপুর, আর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ থেকে রিকশা বা মোটরসাইকেল করে বিরিশিরি পার হতে হবে, এরপর বিড়ি সিরিজ পার হয়ে বাম দিকে, গজির কোনার রোড দিয়ে এক দেড় কিলোমিটার পরেই হচ্ছে কমলা রানীর দীঘি।
টংক শহীদ স্মৃতি সৌধ।
টংক স্মৃতিসৌধ। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপস্থিত। দুর্গাপুরের উপজেলা পরিষদ থেকে কিছুদূর দক্ষিনে অর্থাৎ ৫০০ মিটার দক্ষিনে এম কে সি এম সরকারি হাই স্কুল, আর সেই ইস্কুলের পাশেই টংক স্মৃতিসৌধ।
বিজয়পুর দুর্গাপুর।
বিজয়পুর নেত্রকোনার দুর্গাপুরেই উপস্থিত। ঢাকা মহাখালী থেকে বাসে করে ময়মনসিংহ যেতে হবে। তারপর ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা অথবা শ্যামগঞ্জ যেতে হবে। আর সেখান থেকেই মোমেশ্বরি নদী পার হতে হবে। তারপর রিক্সা বা মোটরসাইকেলে বিজয়পুরের অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবেন।
বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি।
বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী দুর্গাপুরে উপস্থিত। প্রথমে ঢাকা মহাখালী মহাখালী থেকে ময়মনসিং হ যেতে হবে বাসে করে অথবা টেনে করে। তারপর ময়মনসিং থেকে নেত্রকোনা অথবা শ্যামগঞ্জ। শ্যামগঞ্জ থেকে সরাসরি দুর্গাপুর।
রানী মাতা রাসমনি স্মৃতিসৌধ।
রানী রাসমণি স্মৃতিসৌধ নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানায় উপস্থিত। প্রথমে ঢাকা মহাখালী থেকে বাসে করে ময়মনসিংহ তারপর শ্যামগঞ্জ অথবা নেত্রকোনা তারপর নেত্রকোনা থেকে দুর্গাপুর দুর্গাপুর থেকে মহেশ্বরী নদী পার হয়ে, রিক্সা অথবা হুন্ডা দিয়ে বহেড়াতলী যেতে হবে। আর সেখানে গেলেই রাসমনির স্মৃতিসৌধ পাওয়া যাবে।
রানী কং মিশন।
রাণী কং মিশন নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপস্থিত। মহাখালী ঢাকা টু ময়মনসিং হ ময়মনসিংহ টু শ্যামগঞ্জ অথবা নেত্রকোনা তারপর দুর্গাপুর মমেশ্বর নদী তারপর রিকশা অথবা মোটরসাইকেলে রানী কমিশনে যাওয়া যায়।
বোয়ইলবাড়ি।
বোয়াইলবাড়ি, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানা উপস্থিত। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা যেকোনো ধরনের যানবাহনে সেখানে পৌঁছা যায়। ময়মনসিংহ থেকে কেন্দুয়া পৌরসভা তারপর রিকশা অথবা অন্য কোন যানবাহনে সাহিদপুর বাজার। তারপর সেখান থেকে যেতে হবে বোয়াইলবাড়ি বাজারে। বাজার থেকে কিছুদূর যেতে ই বোয়াইলবাড়ি।
সাত শহীদের মাজার।
সাত শহীদের মাজার নেত্রকোনার কলমাকান্দায় উপস্থিত। ঢাকা থেকে বাসে করে ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা আর নেত্রকোনা থেকে কলমাকান্দা। আর কলমাকান্দা থানায় গেলেই সাত শহীদের মাজার পেয়ে যাবেন।
হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি (র) মাজার শরীফ।
হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি (র) মাজার শরীফ। আর এই মাজার শরীফ নেত্রকোনার মদনপুরে উপস্থিত। ঢাকা থেকে সরাসরি ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা নেত্রকোনা থেকে মদনপুর খুবই সহজ রাস্তা।
এখানে যে সকল দর্শনীয় স্থানের নাম দেওয়া হয়েছে। সবগুলোই চমৎকার। নেত্রকোনা সম্পর্কে আরো যদি কোন কিছু আপনার জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্টে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের সকল তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সকল ভিউয়ার্সকে