নেত্রকোনা জেলার বিখ্যাত খাবার।নেত্রকোনা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

নেত্রকোনা জেলার বিখ্যাত খাবার।নেত্রকোনা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

নেত্রকোনা জেলার বিখ্যাত খাবার
নেত্রকোনা জেলার বিখ্যাত খাবার। নেত্রকোনা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত সবার মুখে মুখে নেত্রকোনা জেলার বালিশ মিষ্টির কথা শোনা যায়। আর কারো কাছে জিজ্ঞেস করলেও বলা হয় নেত্রকোনার জেলা বালিশ মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। বিস্তারিত পোস্টটি পড়ুন

বালিশ মিষ্টি বাংলাদেশের একটি নাম করা মিষ্টি। এটি আকারে বালিশের মত বলে সবাই এর নাম দিয়েছে বালিশ মিষ্টি। আর এই মিষ্টি শুধু বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় তৈরি করা হয়

বালিশ মিষ্টি প্রধান উৎপাদকের নাম হলেন গয়নাত ঘোষাল। আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি হিন্দুদের মধ্যে ঘুষ পরিবারের মানুষগুলোই মিষ্টি বানাতে খুবই বিখ্যাত। নেত্রকোনা থেকে বারহাট্টা যাওয়ার রুটের পাশেই হচ্ছে গয়নাত মিষ্টান্ন ভান্ডারের দোকান। আর এই দোকানের বালিশ মিষ্টি গয়নাদ ঘোষাল শত বছর আগে এই মিষ্টি উৎপাদন করেন। গয়নাতের অনেক আগে থেকেই স্বপ্ন ছিল তিনি এমন কিছু আবিষ্কার করবেন যা বাংলাদেশ সব সময় চলমান থাকে।


 তাই তিনি এই চমৎকার আবিষ্কার করেছেন বালিশ মিষ্টি। যা এখন বাংলাদেশের সবার পরিচিত। শোনা যায় একদিন তিনি অনেক বিশাল আকারের একটি মিষ্টি বানান। আর সেই মিষ্টি তার কাস্টমারদের কে খেতে দেন। আর সবাই তাকে অনেক প্রশংসা করে। তখন থেকেই তিনি চিন্তা করেন এই বালিশ মিষ্টি বানাবেন। এই মিষ্টির স্বাদ অতুলনীয়। আর এই মিষ্টির উৎপাদক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত পান গয়না গোসল। কিন্তু হঠাৎ করেই তার নামটিও বালিশের মত ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু রয়ে যায় তার বালিশের নাম লুকেয়ে-মুখে শুধু এখন শোনা যায়। বালিশ মিষ্টির নাম। কিন্তু গয়না ঘোষাল অনেক আগেই ঘুমিয়ে গেছেন। কিন্তু এখন এই গয়নাতে দোকান ছাড়াও অনেক আরো দোকান আছে যেখানে বালিশ মিষ্টি বিক্রি করা হয়।

নেত্রকোনা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত।

বালিশ মিষ্টি আসলে তৈরি করা হয় দুধ ছানা চিনি ও ময়দা দিয়ে। এই মিষ্টি কারিগররা অনেক মনোযোগ দিয়ে বানানো হয়। আরো অনেক গোপন কিছু তথ্য আছে। যা ব্যবসার খাতিরে কারিগররা প্রকাশ করতে চান না। আসলে এটি খুব প্রচলিত একটি মিষ্টি তো তাই কোন কারিগরি এর গোপন তথ্য প্রকাশ করেন না। আসুন আমরা জেনে আসি এর পিছনের রহস্য।

নেত্রকোনা জেলার বিখ্যাত খাবার ২০২৩

১৯৪৭ সালের দিকে দেশের যুদ্ধের সময় ঘোষ পরিবার তাদের সবাইকে নিয়ে ভারতে চলে যায়। কিন্তু সেখানে থেকে যায় গয়না ঘোষ। গয়নাদ ঘোষ এই বালিশ মিষ্টির গোপন রহস্য কাউকে শিখিয়ে যাননি কিন্তু। পরিবারের কিছু মানুষের কাছে তার এই গোপন রহস্য বলে যান। এর কিছুদিন পর গয়নাদ ঘোষ পরিবারের টানে ১৯৬৯ সনের দিকে ভারতে চলে যান। সেই সময় তার এই দোকানটি কুমুদ চন্দ্র নাগের কাছে বিক্রয় করে যান। কুমুদ ৬-৭ বছর পর বালিশ তৈর ির প্রধান কারিগর নিখিল ঘোষের কাছে বিক্রি করে দেন। নিখিল ঘোষ মৃত্যুর পর এই দোকান পরিচালনা করেন তার তিন ছেলে। তারা হলেন বাবুল দিলীপ ও কুকন মোদক।
বিখ্যাত খাবার

এই বালিশ মিষ্টি বিক্রি হয় প্রতি পিস হিসাবে। এই মিষ্টির সাইজ তিন ধরনের ‌। বিক্রি করা হয় প্রতি পিস ২০ টাকা ৫০ টাকা ও ১০০ টাকা করে। এবং ২০০ টাকা করেও বালিশ মিষ্টি বিক্রি করা হয় ১৩ থেকে ১৪ ইঞ্চি বড় হয় এই বালিশ মিষ্টি। আর এর ওজন হয় আট থেকে 1000 গ্রাম পর্যন্ত ৫০-১০০ টাকা এ বালিশ খুব বেশিরভাগই বিক্রি হয়।

পোস্ট পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। নেত্রকোনা জেলার আরো অনেক তথ্য রয়েছে আমাদের সাইটে। আপনি চাইলে সে গুলো দেখে আসতে পারেন। আপনার যদি নেত্রকোনা সম্পর্কে আরো কিছু জানার তাকে তাহলে আমাদের কমেন্টে জানাতে পারেন। আমরা যথাযথভাবে চেষ্টা করব আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ।ধন্যবাদ সকল ভিউয়ার্সকে




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url