জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে ?
চোখ হলুদ হয়ে গেছে ?
আমরা অনেকেই ধরে নেই এটা তো জন্ডিস হয়েছে । কেন যেন মেডিকেলের অনেকগুলো রোগের মধ্যে, জন্ডিস টা ধরা পড়লে আশেপাশের সবাই আমরা বিশেষজ্ঞ হয়ে যাই। মনে হয় তো জন্ডিস নিয়ে অনেক কিছুই বলা যায়। এটা ওটা নানান ধরনের কিছু ভুল ধারণা আমাদের মধ্যে অনেকেই দিয়ে থাকি।
জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে ?
জন্ডিস হলে কি কি করতে হবে ?
যেমন:
১) রক্ত, সিরিঞ্জ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। এজন্য খুব সাবধানে থাকবেন ।
২) সবসময় বিশুদ্ধ খাবার পানি খেতে হবে।
৩) হেপাটাইটিস (এ) এবং হেপাটাইটিস (বি) হওয়ার আশঙ্কা মুক্ত থাকতে হেপাটাইটিস (এ) এবং হেপাটাইটিস (বি) এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।
৪) শরীরে রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে নিতে হবে।
৫) মদ পান ও নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
৬) নিরাপদ যৌন মিলন করুন।
৭) কলকারখানার দুর্গন্ধ রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে থাকুন।
৮) সেলুনে সেভ করার সময় অবশ্যই নতুন ব্লেড ব্যবহার করতে বলবেন।
(এইসব মেনে চলতে হবে)
জন্ডিস হলে কোন কোন ওষুধ খেতে পারবেন না ?
যেমন:১) ব্যথার ওষুধ যেমন,,,, প্যারাসিটামল , এসপিরিন, Diclofenac Sodium, Naproxen ।
২) অ্যালকোহল আসক্তরা অবশ্যই অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩) জন্ডিস হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ চারা কোন ওষুধই সেবন করা ঠিক হবে না।
৪) প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ঘুমের ওষুধ সহ অন্য কোন অপ্রয়োজনীয় ঔষধ খাওয়া যাবে না।
৫) ঘুমের ওষুধ সহ অন্য কোন অপ্রয়োজনীয় ঔষধ খাওয়া যাবে না।
জন্ডিস হইলে মরফিন কিংবা ঘুমের ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
নিচে জন্ডিস নিয়ে কিছু ভুল ধারণা এবং কিছু সঠিক ধারণা তুলে ধরা হলো।
সাধারণত ডাক্তাররা বলে থাকেন রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে সাধারণত জন্ডিস হয়।
কিভাবে বুঝব জন্ডিস হয়েছে ?
যেমন:
১) চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া।
২) হাতের তালু হলুদ হয়ে যাওয়া।
৩) নখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া।
৪) পায়ের তালু হলুদ হয়ে যাওয়া।
৫) প্রস্রাবের রং অস্বাভাবিক হলুদ হয়ে যাওয়া।
যে রোগ থেকে জন্ডিস হতে পারে ?
যেমন:১) হেপাটাইটিসের লক্ষণ থেকে জন্ডিস হতে পারে।
২) জন্মগত থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ থেকে জন্ডিস হতে পারে।
৩) লিভার এর মারাত্মক লক্ষণ থেকে জন্ডিস হতে পারে।
৪) পিক্তথলী বা পিক্তনালীতে পাথর থাকলেও জন্ডিস হতে পারে।
১) জন্ডিস চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে ভালো হয় না।
২) কবিরাজি ওষুধের মাধ্যমে বা বিভিন্ন মালা, তাবিজ দিয়ে জন্ডিস ভালো হয়।
৩) জন্ডিস হলে ফ্রিজের পানি বা ঠান্ডা পানি বেশি বেশি পান করতে হবে।
৪) জন্ডিস হলে বারবার গোসল করতে হয়।
৫) ডাবের পানি, ফলের জুস, বেশি করে পান করলে জন্ডিস ভালো হয়।
৬) জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীদের হলুদ দেয়া খাবার বা তরকারি দেয়া যাবে না।